অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ২০২০ সালে কয়েকটি আরব সরকার বর্ণবাদী ও দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর থেকে হানাদার ইসরাইলি সেনাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা বেড়েই চলেছে।
সম্প্রতি গত ডিসেম্বর মাসে নেতানিয়াহুর নতুন সরকার ইসরাইলে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ আরও তীব্র হয়েছে। নেতানিয়াহুর মন্ত্রীসভার উগ্র ইহুদিবাদী সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতমার বেনগুইর ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধ তৎপরতা জোরদারের পদক্ষেপ নেয়ায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। অথচ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ও কথিত মানবাধিকারবাদী পাশ্চাত্যের সরকারগুলো শিশু-ঘাতক ইসরাইলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে না!
আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হল গত তিন মাসেরও কম সময়ে ইসরাইলী হানাদারদের সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে গাজা উপত্যকার কেবল দুই শহীদ ছাড়া অন্যরা সবাইই পশ্চিম তীরের নানা শহরের ফিলিস্তিনি! অর্থাৎ পশ্চিম তীরে রীতিমত যুদ্ধ চলছে! সেখানে সশস্ত্র ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কারণ ফিলিস্তিনের সবাই এখন বুঝতে পেরেছে যে দশকের পর দশক ধরে ইসরাইলের সঙ্গে কথিত শান্তি বা আপোষ-আলোচনা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের কোনো লাভ হয়নি বরং তারা নানাভাবে বাড়িঘর ও জমিসহ জীবনও হারাচ্ছে!
এ অবস্থায় ফিলিস্তিনি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জিহাদের জনপ্রিয়তা বহুগুণ বেড়ে গেছে। তাদের ব্যাপক প্রতিরোধে ইসরাইলি সেনারাও অনেকটা দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে এবং ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে আপোষকামী ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি যুবকরা ব্যাপক হারে শাহাদাত বরণ করতে থাকলেও তাদের পাল্টা হামলায় বহু দখলদার সেনা ও ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরাও হতাহত হচ্ছে। মরিয়া হয়ে লড়াই করতে থাকা এই ফিলিস্তিনি যুব প্রজন্ম পশ্চিম-তীরকেও এক সময় গাজার মতই ইসরাইলের হাত থেকে পুরোপুরি মুক্ত করার স্বপ্ন দেখছে। আর তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়াও অসম্ভব বা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা হবে না।
ঘরোয়া প্রতিবাদ ও সংকটে জর্জরিত ইহুদিবাদী ইসরাইল অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে ফিলিস্তিন অঞ্চলে সার্বিক দিক থেকে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।
Leave a Reply